গাজার শান্তিরক্ষা মিশনে ২০ হাজার সেনা পাঠাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া

গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য ইন্দোনেশিয়া ২০ হাজার সদস্যের একটি সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত করছে। এই বাহিনীর সাথে থাকবেন প্রশিক্ষিত চিকিৎসক এবং প্রকৌশলীরা। শুক্রবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাজাফরি সাজামসোয়েদ্দিন এই তথ্য প্রকাশ করেন। খবর: আনাদোলু এজেন্সি

ব্রিফিংয়ে তিনি জানান যে গাজায় একটি সম্পূর্ণ এবং সুসংগঠিত শান্তিরক্ষী দল পাঠানোর জন্য ইন্দোনেশিয়া প্রস্তুত রয়েছে। এই মিশনে অংশ নিতে যাওয়া সেনাদেরকে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।

ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে বলেন যে গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে ইতিমধ্যে সম্মতি এবং অনুমোদন পাওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ (ইউএন) এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই এই মিশনের জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী কয়েকটি আরব দেশের অনুমোদন এখনও অপেক্ষার বিষয়।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাজাফরি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে সৌদি আরব, জর্ডান, মিসর, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত যদি এই মিশনে সমর্থন ঘোষণা করে, তাহলে ইন্দোনেশিয়া গর্বের সাথে গাজা মিশনে যোগ দিতে প্রস্তুত।

গত সেপ্টেম্বরের শেষে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি ২০ পয়েন্ট সমন্বিত প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। ইসরায়েল এবং সশস্ত্র সংগঠন হামাস উভয়ই এই প্রস্তাবে সম্মতি জানায়। এর ফলে গত অক্টোবরের ১০ তারিখ থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

ট্রাম্প প্রস্তাবের মূল বিষয়বস্তুতে উল্লেখ রয়েছে যে যুদ্ধ শেষের পর গাজায় একটি অস্থায়ী সিভিল প্রশাসন গঠিত হবে এবং সেখানে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সামরিক বাহিনী নিয়োগ দেওয়া হবে। এই বাহিনীর সদস্যরা সেই অস্থায়ী প্রশাসনের কাছে সম্পূর্ণ দায়বদ্ধ থাকবেন।

তবে এক মাসেরও বেশি সময় কেটে যাওয়ার পরেও এই আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠন বা মোতায়েনের ব্যাপারে তেমন কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র এবং আরব অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোর পক্ষ থেকে অস্থায়ী প্রশাসন গঠনের জন্যও এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।