পারিবারিক ব্যবসার অংশীদার বানানোর প্রতিশ্রুতিতে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, মেহজাবীনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঢাকার একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, হুমকি-ধামকি এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

রোববার আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের আদালতে হাজিরার জন্য তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু তারা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় গত ১০ নভেম্বর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আফরোজা তানিয়া তাদের বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পাশাপাশি গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী বাদী আমিরুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয়ের সুযোগ নিয়ে মেহজাবীন চৌধুরী তাকে নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রলোভন দেখান। এই প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করে বাদী বিভিন্ন সময়ে নগদ টাকা ও বিকাশের মাধ্যমে মোট সাতাশ লাখ টাকা মেহজাবীনকে প্রদান করেন।

অর্থ প্রদানের পর মেহজাবীন ও তার ভাই আলিসান ব্যবসায়িক কোনো কার্যক্রম শুরু করেননি। বাদী যখন বারবার তার পাওনা টাকা ফেরত চাইতে থাকেন তখন তারা আজকে দেবো কালকে দেবো বলে দীর্ঘদিন ধরে টালবাহানা করতে থাকেন।

পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে। ওইদিন বাদী যখন আবারও তার পাওনা টাকা দাবি করেন তখন মেহজাবীন ও তার ভাই তাকে ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। নির্ধারিত দিনে ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন, তার ভাই এবং আরও চার থেকে পাঁচজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাদীকে কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এসময় তারা বাদীকে হুমকি দিয়ে বলেন যে তিনি যেন আর তাদের বাসায় টাকা চাইতে না যান। তারা আরও বলেন যে বাসার সামনে পুনরায় দেখা হলে তাকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে বলা হয় যে তাকে মেরে ফেলা হবে। এভাবে বাদীকে মারাত্মক হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়।

ঘটনার পর বাদী সমাধানের জন্য ভাটারা থানায় যান। তবে থানা কর্তৃপক্ষ তাকে সরাসরি আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেন। এরপর আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭ ও ১১৭ ধারার তিন উপধারায় মামলা দায়ের করেন।