হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ফলাফল নিয়ে উদ্বেগ, দায় চাপছে শিক্ষকদের ওপর


চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় দিনাজপুর বোর্ডের লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের হার ৫১.৫৩ শতাংশ। মোট ১৬৩ জন (অনুপস্তিতসহ ১৬৯জন) পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮৪ জন। উল্লেখযোগ্যভাবে কোনো শিক্ষার্থীই জিপিএ-৫ অর্জন করতে পারেনি।
ফলাফলের এই বিপর্যয়ের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চাঞ্চল্য ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই এর জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দায়ী করছেন। তাঁদের অভিযোগ, শিক্ষকদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিভাজন, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং প্রশাসনিক জটিলতা শিক্ষার পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
স্থানীয়রা জানান, একসময় এই প্রতিষ্ঠানটি ভালো ফলাফলের জন্য পরিচিত ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষকদের মধ্যে ঐক্যের অভাব, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক প্রভাব শিক্ষার গুণগত মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “শিক্ষকরা নিজেরাই এখন আর এক নন। একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত করেছেন। যেখানে শিক্ষকরাই বিভক্ত, সেখানে শিক্ষার্থীরা ভালো শিক্ষা পাবে কীভাবে?”
আরও অভিযোগ উঠেছে, অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান না করে কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানোর দিকে বেশি মনোযোগী। এতে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন অভিভাবক ও সচেতন মহল।
প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে এক অভিভাবক বলেন, “বিদ্যালয়টির মানোন্নয়নের সম্ভাবনা অবশ্যই আছে, তবে তার আগে শিক্ষকদের মধ্যকার মতবিরোধ ও ক্ষমতার লড়াই বন্ধ করতে হবে। তা না হলে লেখাপড়ার মান উন্নতির আশা করা অবান্তর।”
কফিপোস্টের সর্বশেষ খবর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল অনুসরণ করুন।
© কফিপোস্ট ডট কম
অনলাইনে পড়তে স্ক্যান করুন